ডগলাস মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়টি গোপালগঞ্জ জেলার অধীন কোটালিপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বুরুয়াবাড়ি গ্রামে অবস্থিত। বিদ্যালয়টি বিশ্ব মুক্তিবানী সংস্থা দ্বারা পরিচালিত একটি খ্রিষ্টিয়ান মিশনারি বিদ্যালয়।

১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশে যুদ্ধের বীভৎস ক্ষত বহন করছে। চারদিকে শুধু হাহাকার আর অভাব। যুদ্ধের পরবর্তী ভয়াবহতা ও মানুষে দুর্দশা দেখে একজন মহামানবের হৃদয় কেঁদে উঠছিল এবং তিনি ঠিক করলেন তিনি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন ও সৃষ্টিকর্তার ভালবাসা পৌঁছে দেবেন তিনি আর কেউ নন ডগলাস মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রেভা: বেনেডিক্ট অমলেন্দু বাড়ৈ মহাশয়। তিনি দুঃস্থ ও অসহায় মানুষকে সেবার লক্ষে ১৯৭২ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী, বিশ্ব মুক্তিবানী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এবং ৭ (সাত) জন এতিম শিশুদের নিয়ে পাটের গুদামে একটি অংশে হোম বা এতিমখানা শুরু করনে। তিনি একজন ভিশনারি লিডার ছিলেন। তিনি যখন গোপালগঞ্জের, কোটালিপাড়া উপজেলার, রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বুরুয়াবাড়ি গ্রামে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সেবা দিচ্ছিলেন তখন তিনি উপলব্ধি করলেন মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে না পারলে ব্যক্তি ও সমাজের স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব নয়। 

বর্তমান স্কুলটি যে জায়গায় অবস্থিত ঐসময় স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হবার পূর্বে ঐ জায়গায় গ্রামের মানুষ তাদের গরু-ছাগল চরাতে নিয়ে যেতেন এবং মল ত্যাগের জন্য ব্যবহার করতেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে খুব সহজে যোগাযোগ করা যায় বা যাওয়া যায়। কিন্তু তখন অত্র অঞ্চল অত্যন্ত দুর্গম ও যাতায়াত করা অত্যন্ত কষ্টকর ছিল । 
সংক্ষিপ্ত ইতিহাসটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ|